বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প

ক্রমিক নং

বিষয়বস্তু

 বিবরণ

প্রকল্পের নাম

উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ” প্রকল্প

মেয়াদ

জুলাই ২০১৬ - জুন ২০১৯ 

প্রাক্কলিত ব্যয়

অর্থের উৎস

পরিমান

বৈদেশিক সাহায্য

প্রযোজ্য নয়।

জিওবি

২২৯৭৩.৮৬ (লক্ষ টাকায়)

মোট

২২৯৭৩.৮৬ (লক্ষ টাকায়)

 

 

 

 

 

 

জনবল

কর্মকর্তা: ০৭ জন

কর্মচারী: ০৬ জন

পটভূমি

২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন-কেন্দ্রিক অর্থনীতির উন্নয়ন ও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম তৈরি এবং এর সহায়ক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার একটি জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গতিশীল উদ্ভাবন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কারিগরি দক্ষতার উন্নয়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন ঘটাতে এই উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। বর্ণিত উদ্দেশ্যাবলির বাস্তবায়নের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তাদেরকে ইকুইটি, কনভারটিবল ডেট (Debt) এ বিনিয়োগ এবং/অথবা অনুদান প্রদান করা হবে। উদ্যোক্তা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা ও সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের এই বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধন সহায়তা প্রদান করা হবে।  ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই অর্থায়ন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সাধারণ উদ্দেশ্যাবলি:

  1. উদ্ভাবন সহায়ক ইকোসিস্টেম ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরি;
  2. মেধা সম্পদ সংরক্ষণ করা;
  3. তরুণ উদ্ভাবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা;
  4. মহৎ আইডিয়াসমূহকে খুঁজে বের করা, পরিপালন করা ও উন্নীত করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরী করা;
  5. দেশে উদ্ভাবন সহায়ক ইকোসিস্টেমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করা;
  6. উদ্ভাবনসমূহের ব্রান্ডিং ও বানিজ্যিকিকরণে সহায়তা করা;

নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যাবলি:

  1. একটি উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা  উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা;
  2. আইসিটি ভিত্তিক ২০০ টি ইনভেটিভ পণ্য বা সেবাকে সহায়তা প্রদান;
  3. স্টার্টআপদেরকে বিনিয়োগ করার লক্ষ্যে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা;
  4. ১০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনভেশন পাইপলাইন তৈরী করা;
  5. দেশের ১০,০০০ উদ্ভাবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

প্রকল্পের উল্লেখ্যযোগ্য কম্পোনেন্ট

  1. একটি উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা  উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা;
  2. আইসিটি ভিত্তিক ২০০ টি ইনভেটিভ পণ্য বা সেবাকে সহায়তা প্রদান;
  3. স্টার্টআপদেরকে বিনিয়োগ করার লক্ষ্যে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা;
  4. ১০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনভেশন পাইপলাইন তৈরী করা;
  5. দেশের ১০,০০০ উদ্ভাবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

বাস্তবায়ন অগ্রগতি

  • Startup Bangladesh Ltd. কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিকট হতে Startup Bangladesh Ltd. নামে নামের ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে এবং বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নেওয়া হয়েছে।কোম্পানির Memorandum of Association (MoA)এবং Articles of Association (AoA)এর বিষয়ে অর্থ বিভাগের মতামত নেওয়া হয়েছে। Memorandum of Association (MoA)এবং Articles of Association (AoA) সচিব কমিটিতে প্রেরণের পর মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সুপারিশমতে প্রস্তাবটি জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • সিলেকশন কমিটির ৭টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কমিটি কর্তৃক ৬১টি স্টার্টআপকে বাছাই করতঃ মোট ৫,৮২,০০,০০০ (পাঁচ কোটি বিরাশি লক্ষ) টাকা অনুদান প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ও প্রথম কিস্তিতে ৩,৭৩,০০,০০০ (তিন কোটি তিহাত্তর লক্ষ) টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
  • পারফর্মেন্স মনিটরিং কমিটির ৩টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১০ টি স্টার্টআপকে ২য় কিস্তিতে ২৬,০০০,০০ (ছাব্বিশ লক্ষ) টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
  • সিলেকশন কমিটিকর্তৃক ২টি Growth Stage কোম্পানিকে ৭,৩০,০০০,০০ (সাত কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা ইকুইটি ইনভেস্টমেন্টের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। Startup Bangladesh Ltd. কোম্পানি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় ইনভেস্টমেন্ট করা যায় নি।
  • PSC সভার সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পের DPP ও অর্থায়ন বিষয়ক Guideline  সংশোধন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে;
  • প্রকল্পটি জুন ২০১৯ এ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত আছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশন ওIMEDতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • আর্থিক অগ্রগতিঃ  ৮.২৫%; বাস্তব অগ্রগতিঃ ২৪%

প্রশিক্ষণ 

স্থানীয়: ১১৬  জন

১০

সেমিনার/কর্মশালা/আয়োজিত  ইভেন্ট ও প্রতিযোগিতা

  • প্রকল্পের Marketing Promotion (University Activation) কার্যক্রমের আওতায় দেশে ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ শীর্ষক কার্যক্রম আইসিটি বিভাগের সচিব ও বিসিসি নির্বাহী পরিচালক মহদয়ের উপস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক,এমপি উদ্বোধন করেন। এ প্রোগ্রাম থেকে ২০টি স্টার্টআপকে ফান্ডিং এর উপযুক্ত করে তোলার জন্য গ্রুমিং করাসহ ১০ টি স্টার্টআপকে ফান্ডিং করা হবে। 
  • ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদেরকে গ্রুমিং করা হয়।
  • প্রকল্প থেকে অর্থায়ন করা ৬১টি স্টার্টআপকে হিসাবরক্ষন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
  • ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ তে স্টার্টআপদের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুদান প্রদানসহ দেশী বিদেশী স্পীকার কর্তৃক ৪টি সেমিনার করা হয়। এ ছাড়া স্টার্টআপ জোনে ৪০ টি স্টার্টআপদের প্রদর্শনীর জন্য ৪০টি স্টার্টআপ বুথ তৈরি  ও  স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন করা হয়।
  • এ ছাড়া ১৭২৫ জন স্টার্টআপ এর জন্য বিভন্ন ভ্যানুতে  টেনিং/বুট ক্যাম্প/সেমিনার/ ওয়ার্কশপ আয়োজন।

 

চলামান  সমাপ্ত উল্লেখ্যযোগ্য কার্যক্রমের ছবি:

 

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ কর্তৃক উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি উদ্বোধন।

একাডেমীতে স্টার্টআপদের কো-ওয়ার্কিং স্পেস।

   

একাডেমির পিচিং জোন

কো-ওয়ার্কিং স্পেসে স্টার্টআপ পরিদর্শন