বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st নভেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেল আইসিটি বিভাগের অধীন বিসিসি'র ‘আইডিয়া’ প্রকল্প


প্রকাশন তারিখ : 2020-11-21

‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’এর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেল বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)রানারআপ হিসেবে উক্ত ক্যাটাগরিতে সম্মানজনক এ আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডটির সনদ গ্রহণ করে আইডিয়া প্রকল্পগু।

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে গত বৃহস্পতিবার ‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ প্রদান করা হয়। এবার বিশ্বের চারটি মহাদেশ থেকে মোট ১০ ক্যাটাগরিতে

 ১২টি প্রাইভেট ও পাবলিক প্রতিষ্ঠানকে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন করা হয়, যেখানে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে উইনারসহ ১০টি রানারআপ ও ২১টি মেরিট অ্যাওয়ার্ডস স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ চারটি বিভাগে রানারআপ ও দুটি বিভাগে মেরিট পুরস্কার পেয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আইডিয়া প্রকল্পের এ অর্জনসহ বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য পুরস্কার বিজয়ীসহ দেশ-বিদেশের সব অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সম্মাননা ভবিষ্যতে আরো সফল উদ্যোগ নিতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।

আইডিয়ার প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও উইটসা অ্যাওয়ার্ড নির্বাচন কমিটির প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

পুরস্কার নিয়ে উইটসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর যেসব সংস্থা মানবজাতির জন্য সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, তাদের পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। উইটসার চেয়ারম্যান ইভোন চু বলেন, উইটসার ২০ বছরের ইতিহাসে কখনই এর বেশি মানসম্মত দক্ষ, অনন্য এবং উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পর্যালোচনার সুযোগ পাইনি।

এবারের ‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’-এ বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হচ্ছে ‘কভিড ১৯ টেক সলিউশনস ফর সিটিজ অ্যান্ড লোকালিটিজ’ বিভাগে

সিনেসিস আইটি লিমিটেড ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্প, ইনোভেটিভ ই-হেলথ সলিউশনস বিভাগে মাইসফটের মাই হেলথ বিডি, ভার্চুয়াল হসপিটাল অব বাংলাদেশ, ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগে বিজয় ডিজিটাল। মেরিট পুরস্কার হিসেবে ডিজিটাল অপরচুনিটি অর ইনক্লুশন বিভাগে নগদ এবং সাসটেইনেবল গ্রোথ বিভাগে ডিভাইন আইটি লিমিটেডের প্রিজম ইআরপি।

মালয়েশিয়ায় ১৮ নভেম্বর শুরু হয় তিনদিনের এই ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআইটি) সম্মেলন। দ্বিতীয় দিন পুরস্কার ঘোষণা করা হয় এবং গতকাল সম্মেলনের তৃতীয় দিন ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। আগামীবার এ আয়োজন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।