বাংলাদেশ ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার জাতীয় ই-সেবার সমন্বিত কাঠামো
যুক্তরাষ্ট্রে ইহা ফেডারেল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার নামে পরিচিত। জাতীয় ই-সেবা কাঠামোকে গভর্নেন্স এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যবস্থা , প্রক্রিয়াসমূহ, অঙ্গ-সংগঠন এবং লোকবল কিভাবে সমন্বিত উপায়ে কাজ করবে, তা এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার ব্যাখ্যা করে।
এটি একটি ফ্রেমওয়ার্ক যা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহকে যথোপযুক্ত ই-গভর্নেন্স প্রচেষ্টা/উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে পথ নির্দেশনা ও সাহায্য প্রদান করবে।
এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচারের মূল ভিত্তি হল সেবা মুখি নকশা (Service Oriented Architecture) ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বেশ কিছু ওয়েব সার্ভিস একই সার্ভিস বাসের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে বার্তা প্রবাহ আদান প্রদান, রাউটিং, রুপান্তর ইত্যাদি করে থাকে।
কেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার?
সকল জাতীয় ও নাগরিক সেবা ও তথ্যের সহজ সংযোগ নিশ্চিত করে
জাতীয় ও নাগরিক সেবাসমূহের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এটি একটি সামস্টিক ব্যবস্থা (Holistic approach)
এটি সার্বিক প্রক্রিয়াগুলির আন্তপরিবাহীতা (Interoperability) নিশ্চিতকরণে সাহায্য করে
তথ্য ব্যবস্থা ও নাগরিক সেবার সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচারের প্রয়োজনীয়তা আপরিহার্য হয়ে ওঠে।
সেবা প্রক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে
সেবা পুনর্ব্যবহারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে, অনাবশ্যক দ্বৈততা কমাতে পারে এবং এই প্রক্রিয়া খরচ কমাতে সাহায্য করে।