বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে


প্রকাশন তারিখ : 2018-12-06

 

 
জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: যুগান্তর

নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

৩০ অক্টোবর, মঙ্গলবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা তথ্যপ্রযুক্তি চর্চার ক্ষেত্রে মাইলফলক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন প্রোগ্রামিং মেধার বিকাশ ও সৃজনশীলতার ক্ষেত্রকে বিকশিত করে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের ওপর শিক্ষা দিতে হবে।

কারণ প্রোগ্রামিংয়ের চর্চাটা ছোট থেকেই হওয়া উচিত। আমাদের সন্তান অনেক মেধাবী। আমরা যে প্রজন্মকে এখন প্রাইমারি স্কুলে যেতে দেখি, তাদের স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখাতে হয় না। তাই আমরা তাদের এমন স্থানে নিয়ে যেতে চাই যেন তারা ছোট থেকেই প্রোগ্রামিং জানতে পারে।

মেধার যথাযথ বিকাশের মাধ্যমে নিজেদের আগামী শতাব্দীর উপযোগী করে গড়ে তুলতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

তিনি বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের প্রোগ্রামার হবে। বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যে বাস্তবায়নে ৪৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করাসহ তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন প্রোগ্রামিং, কোডিংসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারে।

এ লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন সামস ও বিসিসির পরিচালক ইনামুল হক।

শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করতে চলতি বছর মার্চ থেকে সারা দেশে ১৮০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে কম্পিউটার কাউন্সিল ও ইয়াং বাংলা।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ২টি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত জুনিয়র এবং ৯ম থেকে ১০ম পর্যন্ত সিনিয়র গ্রুপে ভাগ করা হয়। দেশের সব জেলা থেকে ৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ১লা্ নভেম্বর, ২০১৮।